দেশে প্রতিনিয়তই বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। তেলের দাম কয়কে দফায় কমলেও চিনির দাম বাড়ছে হু হু করে। ব্যবসায়ীদের চাপে গত ১২ দিনে দুই দফায় চিনির কেজি ২০ টাকা বাড়িয়েছে সরকার।

সরকার প্রতি কেজি খোলা চিনি ৯০ টাকা বেঁধে দিলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত চিনির দর বেড়ে যাওয়ায় এবং স্থানীয় পরিশোধনকারী মিলগুলোর উৎপাদন খরচ বিবেচনায় নিয়ে গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর চিনির দাম বাড়ায় বাংলাদেশ সুগার রিফাইনারস অ্যাসোসিয়েশন।

তখন প্রতি কেজি খোলা চিনির খুচরা মূল্য ৭৪ টাকা ও প্যাকেটজাত মূল্য ছিল ৭৫ টাকা। ডলার ও আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়াসহ নানা কারণ দেখিয়ে গত সেপ্টেম্বরে আবারও দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেয় সংগঠনটি।

তাদের চাপে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত ২২ সেপ্টেম্বর খোলা চিনির কেজি ৮৪ এবং প্যাকেটজাত চিনির দর ৮৯ টাকা নির্ধারণ করে দেয়, যা ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর করতে বলা হয়। ১২ দিনের মাথায় গত ৬ অক্টোবর ফের দাম বাড়ানো হয় পণ্যটির।

এ দফায় কেজিতে আরও ৬ টাকা বাড়িয়ে প্রতি কেজি খোলা চিনি ৯০ এবং প্যাকেটজাত চিনির দাম ৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। সে হিসেবে দুই দফায় খোলা চিনির দাম কেজিতে ১৬ এবং প্যাকেটজাত চিনির দাম ২০ টাকা বাড়ায় মন্ত্রণালয়। দু’দফা দাম বাড়ানোর পরও খুচরা বাজারে এখন বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে চিনি।

মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সরেজমিনে, প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকায়। আর প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকায়। প্যাকেটের চেয়ে খোলা চিনির দাম বেশি থাকায় কেউ কেউ প্যাকেটের চিনি খোলা অবস্থায় ১০০ টাকায় বিক্রি করছেন।